- মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪

| বৈশাখ ১৭ ১৪৩১ -

Tokyo Bangla News || টোকিও বাংলা নিউজ

হামলার বিষয়ে আগেই সতর্ক করেছিল যুক্তরাষ্ট্র, কান দেয়নি মস্কো

প্রকাশিত: ১৭:২৪, ২৩ মার্চ ২০২৪

হামলার বিষয়ে আগেই সতর্ক করেছিল যুক্তরাষ্ট্র, কান দেয়নি মস্কো

রাশিয়াকে যেমনটা সতর্ক করেছিল, মস্কোর এক কনসার্ট অনুষ্ঠানে গুলিতে ৬০ জনের প্রাণহানির মধ্যে দিয়ে সেটিই সত্যি হলো।

বিবিসি বলছে, মস্কোতে কোনো বড় জনসমাগমস্থলে হামলা হতে পারে, তা এ মাসের শুরুর দিকেই রাশিয়ার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।  

শুক্রবার (২২ মার্চ) মস্কোর শহরতলির ৬২০০ আসনের ক্রোকাস সিটি হলে রক দল ‘পিকনিক’এর কানসার্ট শুরুর ঠিক আগে বন্দুকধারীরা বেসামরিকদের ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে। হলটি তখন কানায় কানায় ভরা ছিল।

এ ঘটনায় আরও অন্তত ১৪৫ জন আহত হয়।, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে রাশিয়ার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

২০০৪ সালে বেসলান স্কুলে হামলার ঘটনার পর থেকে এটিই রাশিয়ায় হওয়া সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র আদ্রিয়েন ওয়াটসন বলেন, মস্কোতে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা হচ্ছে, বিশেষ করে কনসার্টসহ কোনো জনসমাগমস্থলে, এমন তথ্য মাসের শুরুর দিকেই যুক্তরাষ্ট্রের হাতে এসেছিল।

ওয়াশিংটন সেই তথ্য রাশিয়ার কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছিল।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের সেই সতর্কবার্তাকে ‘মিথ্যা প্রচার’ বলে উড়িয়ে দেয় ক্রেমলিন।

ওই সময় রাশিয়ায় থাকায় নাগরিকদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ প্রকাশেরও পরও তাতে কান দেয়নি রাশিয়া।

জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন মার্কিন গোয়েন্দারা।

আইএস যেভাবে সাধারণত হামলা করে, তার সঙ্গে এই হামলার মিল রয়েছে। অর্থাৎ, কোনো স্থানে হামলা চালিয়ে যতবেশি সংখ্যক মানুষকে হত্যা করা যায়, ঠিক তেমনটাই দেখা গেছে মস্কোর এই ঘটনায়।

২০১৫ সালে প্যারিসের এক কনসার্টেও একই ধরনের হামলায় এই জঙ্গি গোষ্ঠীর যোগ ছিল।

তবে আসলেই শুক্রবারের হামলাটির জন্য কারা দায়ী, বর্তমান আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে তা বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিতে পারে।

ইউক্রেন যেহেতু রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে রয়েছে, এমন অবস্থায় মস্কো এই হামলার দায় তাদের ওপর চাপাতে পারে, এমনটা ভেবে উদ্বিগ্ন হতেই পারে দেশটি ও তার মিত্ররা।  

কনসার্টসহ কোনো জনসমাগমে সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে গত ৭ মার্চ রাশিয়ায় নাগরিকদের জন্য যে সতর্কবার্তা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেই সতর্কবার্তা দেওয়া হলেও রাশিয়ার কর্মকর্তারা তা নাকচ করে দিয়েছিলেন।

এখন এই হামলার পর মস্কোর কী প্রতিক্রিয়া জানায় সেটাই এখন দেখার বিষয়।