- মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪

| জ্যৈষ্ঠ ৭ ১৪৩১ -

Tokyo Bangla News || টোকিও বাংলা নিউজ

আগামী ৭ বছরে জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে খরচ হবে ২.৮ ট্রিলিয়ন ডলার : বিশ্বব্যাংক

মহি ইউ খান মামুন, ওয়াশিংটন থেকে 

প্রকাশিত: ০২:৪৬, ১৩ এপ্রিল ২০২৩

আগামী ৭ বছরে জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে খরচ হবে ২.৮ ট্রিলিয়ন ডলার : বিশ্বব্যাংক

ছবি : সি ফর অল

চলতি বছর থেকে আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকানো ও এর স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সরকারী-বেসরকারী তহবিলসহ প্রায় ২.৮ ট্রিলিয়ন ডলার খরচ হবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তবে এইক্ষেত্রে ধনী দেশগুলো তাদের কোষাগার থেকে অনুদান হিসেবে অর্থ দিতে নারাজ বলেও দাবী করা হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে। 
অনুদান হিসেবে অর্থ বরাদ্দের পথ সরু হয়ে আসলেও তুলনামুলক দুর্বল অর্থনীতির দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনে ঋণ সহায়তা দেবে এমন আশ্বাস দেয়া হয় বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে।  

স্থানীয় সময় বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের এক অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে এমন মন্তব্য আসে যখন দরিদ্রদেশগুলো আর্থিক সংকটে হিমশিম খেতে হচ্ছে। 

অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের পরবর্তী সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ধনী দেশগুলো বেশি দায়ী এমন ধারণা বিশ্বের বেশিরভাগ দরিদ্র দেশগুলোর। আর এ জন্য এই খাতে ধনী দেশগুলো যেন আরও বেশি অগ্রণী ভুমিকা রাখে তা-ই প্রত্যাশা দরিদ্র দেশগুলোর। 

বর্তমানে বৈশ্বিক খাদ্য সংকট, উচ্চ মূল্যসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত উন্নয়ন দেশগুলি এমন কথাও স্মরণ করেন হবু এ প্রেসিডেন্ট। 

অনুষ্ঠানে ভালনারেবল টুয়েন্টি (ভি-২০) এর চেয়ারম্যান ঘানার অর্থমন্ত্রী ক্যান ওফোরি আত্তা বলেন, ঋণ, কর্মসংস্থান এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে সফলভাবে কাজ করার বিষয়গুলো হবে বিশ্বব্যাংকের পরবর্তী প্রেসিডেন্টের জন্য সত্যিকার চ্যালেঞ্জ। 

এক্ষেত্রে অর্থনৈতিক বৈষম্যে ভরা দেশগুলিকে এক কাতারে আনার মতো কঠিন দায়িত্বের কথাও উল্ল্যেখ করেন আত্তা। 
অনুষ্ঠানে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর গ্লোবাল ডেভেলপমেন্টের প্রেসিডেন্ট মাসুদ আহমেদ বলেন, “দরিদ্রতম দেশগুলোর সঙ্গে ধনী দেশগুলো এ সমস্যাগুলো কাঁধে কাঁধ রেখে কীভাবে মোকাবিলা করবে সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো প্রস্তাব নেই।