দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২০ বিলিয়ন (১০০ কোটিতে এক বিলিয়ন) ডলারের নিচে অবস্থান করছে। গত মাসের শেষদিকে রিজার্ভ বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলারে ওঠে। মার্চের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দেনাবাবদ ২৯ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ আবার ২০ বিলিয়নের নিচে নেমে আসে।
এরপর বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ডলার ধার করে রিজার্ভ আবার বাড়িয়ে ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে। এখন আবার তার নিচে নেমে গেছে।
সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৯৯৯ কোটি ডলার। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি নিট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৫৭ কোটি ডলার। এ হিসাবে রিজার্ভ কমেছে ৫৮ কোটি ডলার। গত বৃস্পতিবার দিনের শুরুতে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৫২৫ কোটি ডলার। ২৯ ফেব্রুয়ারি তা ছিল ২ হাজার ৫৭৬ কোটি ডলার। আলোচ্য সময়ে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৫১ কোটি ডলার।
এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আশা করছে রোজা ও ঈদ উপলক্ষ্যে ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স বেড়েছে। মার্চ ও এপ্রিলেও বাড়বে।
এতে রিজার্ভে কিছুটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এছাড়া আমদানিও কমেছে। বৈদেশিক ঋণের প্রবাহ আবার বাড়তে শুরু করেছে। এতে ডলারের প্রবাহও কিছুটা বেড়েছে।
তবে রোজায় রেমিট্যান্স বাবদ প্রবাসীরা নগদ আকারে হুন্ডিতে ডলার পাঠাচ্ছেন বেশি। ফলে কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম কমে গেছে। ব্যাংকেও রেমিট্যান্স কেনার ক্ষেত্রে ডলারের দাম কিছুটা কমেছে।
কারণ প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর চাপ বেড়েছে। যে কারণে ডলারের দাম কিছুটা কমেছে। তবে এই দাম কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অফিশিয়াল দরকে কোনো প্রভাবিত করছে না। কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা বাফেদার নির্ধারিত দাম এখন সর্বোচ্চ ১১০ টাকা। ওই দামে ব্যাংকে ডলার বেচাকেনা হচ্ছে না বললেই চলে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, আগামী মে মাসের আগে বড় ধরনের কোনো দেনা একসঙ্গে শোধ করতে হবে না। ফলে রিজার্ভের ওপর মে মাসের আগে বড় কোনো চাপ আসবে না। এর মধ্যে জ্বালানি তেল আমদানি বাবদ আইডিবি থেকে ট্রেড ক্রেডিট বাবদ ৫০ কোটি ডলার পাওয়া গেলে জ্বালানি তেল আমদানিতে নতুন ডলারের জোগান দিতে হবে না।
এছাড়া আইএমএফের তৃতীয় কিস্তি ও বিশ্বব্যাংকের ঋণের একটি কিস্তি সামনে বকেয়া রয়েছে। বাজেট সহায়তা বাবদও বিশ্বব্যাংক থেকে কিছু ঋণ পাওয়া যাবে। সেগুলো নিয়ে আলোচনা চলছে।
এম কে এম