- শনিবার ১৮ মে ২০২৪

| জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১ -

Tokyo Bangla News || টোকিও বাংলা নিউজ

ইসলামিক নিয়ম অনুযায়ী কবরস্থ করা গেল না জাপান প্রবাসী আবুল হাশেমের লাশ

ষ্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১২:১৪, ১২ জুলাই ২০২২

ইসলামিক নিয়ম অনুযায়ী কবরস্থ করা গেল না জাপান প্রবাসী আবুল হাশেমের লাশ

শত চেষ্টা করেও জাপান প্রবাসী বাংলাদেশি মুসলিম নাগরিক মৃত আবুল হাশেমের লাশকে ইসলামিক রীতি-নীতিতে দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করা যায়নি। জাপানে বাংলাদেশি কমিউনিটি, বাংলাদেশি ইসলামিক ফাউন্ডেশন, জাপানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এবং বাংলাদেশে অবস্থিত পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সমন্বিত চেষ্টাতেও মুসলিম রীতিনীতিতে কবরস্থ করা যায়নি মৃতের লাশ। জাপানিজ স্ত্রী ও দুই মেয়ের সিদ্ধান্তেই জাপানিজ নিয়ম-কানুনের মধ্য দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে শেষ বিদায় দেয়া হয় জাপান প্রবাসী মৃত আবুল হাশেমকে। পরিবারের এ সিদ্ধান্তের কারণে মৃতের জানাযা পর্যন্ত দিতে পারেননি জাপানে থাকা মুসলমান প্রবাসীরা।

জানা যায়,  গত শনিবার আনুমানিক সকাল ৯ টার সময় ৬৩ বছর বয়স্ক মোহাম্মদ আবুল হাশেম একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। এর আগে তিনি তার কর্মস্থলে কর্মরত অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান।

মৃতের লাশ মুসলিম রীতি-নীতির মধ্য দিয়ে দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে চেষ্টাকারীদের একজন জাপানের ব্যবসায়ী "আইসিএফ" চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বলেন, আমরা গত ২ দিন চেষ্টা করেও সফল হতে পারিনি। তবে এ চেষ্টাতে জাপানের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, বিভিন্ন দেশের মুসলমান ভাই-বোন, জাপানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়সহ যারা যারা জড়িত ছিলেন; বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
তিনি বলেন, এখানকার স্থানীয় পুলিশ আমাদের অনেক সহযোগীতা করেছে। মৃতের পরিবার (স্ত্রী) এর সঙ্গে আমাদের কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছে। কিন্তু আমরা কোনভাবেই মৃতের পরিবারকে আমাদের মুসলিম রীতি-নীতিতে মৃত আবুল হাশেমের লাশ কবরস্থ করার বিষয়ে রাজি করাতে পারিনি।

মৃত আবুল হাশেমের স্ত্রী'র বরাত দিয়ে আব্দুল মালেক বলেন, তিনি (মৃত আবুল হাশেমের স্ত্রী) আমাদের বলেছেন, আমরা ৩৬ বছর ধরে সংসার করেছি। আমি ওনার মন-মেজাজ সম্পর্কে জানি। ওনি ওনার মৃত্যুর পর কবরস্থ করার রীতি-নীতি সম্পর্কে আমাকে কখনোই কিছু বলেননি। 
 
উল্লেখ্য, মৃত আবুল হাশেম জাপানের সাইতামা অঞ্চলের কুকিতে জাপানিজ স্ত্রী নিয়ে বসবাস করতেন। ৩৬ বছরের সংসারে তার ২ জন মেয়ে সন্তান রয়েছেন। যাদের ইতোমধ্যেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। জানা যায়, জাপানের মুসলিম বাংলাদেশী কমিউনিটির সাথে মৃত আবুল হাশেমের তেমন যোগাযোগ ও উঠাবসা ছিলনা ।

আর এ