- শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪

| জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১ -

Tokyo Bangla News || টোকিও বাংলা নিউজ

জাপানের হারিয়ে যাওয়া ৫০০ মিটার এক দ্বীপের গল্প

ষ্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২২:২২, ২৭ মার্চ ২০২২

জাপানের হারিয়ে যাওয়া ৫০০ মিটার এক দ্বীপের গল্প

জাপানের উত্তর উপকূল থেকে হারিয়ে যাওয়া এক দ্বীপের নাম এসানবেহানাকিতাকোজিমা।পুরো একটি দ্বীপ হারানো সহজ বিষয় নয়। দ্বীপ হারানোর বিষয়টি শুনে অনেকে অবাক হলেও জাপানে এমনটিই ঘটেছে। দেশটির কোস্ট গার্ড সেই হারানো দ্বীপ খুঁজে পেতে মিশনে নামার পরিকল্পনা করছে। 

এদিকে জাপানি দৈনিক আশাহি শিম্বুন জানিয়েছে, হারিয়ে যাওয়া ছোট ওই দ্বীপটি ছিল হোক্কাইডো দ্বীপের উত্তরভাগের শেষ মাথায় অবস্থিত সারুফুতসু গ্রাম থেকে ৫০০ মিটার দূরে। যদি এসানবেহানাকিতাকোজিমা দ্বীপ আসলেই পানির নিচে চলে যায়, তাহলে ৫০০ মিটার সমুদ্রসীমা হারাবে জাপান।

এই দ্বীপ নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি প্রথম নজরে আসে হিরোশি শিমিজু নামের একজন লেখকের মাধ্যমে। তিনি মূলত জাপানের গোপন দ্বীপগুলো নিয়ে একটি ছবির বই তৈরি করছিলেন। এ কারণে এসানবেহানাকিতাকোজিমা দ্বীপের সন্ধানে গিয়েছিলেন তিনি।

সেখানে গিয়ে কিছুটা বিভ্রান্ত হন শিমিজু। তিনি স্থানীয় জেলেদের এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করেন। এ সময় সেখানকার এক বয়স্ক লোক শিমিজুকে বলেন, এখানে আগে একটি দ্বীপ দেখা যেত কিন্তু এখন আর দেখা যায় না।

অন্য জেলেরা বলেছেন, নেভিগেশন সিস্টেমে এটাকে একটি দ্বীপ হিসেবে দেখায়। হারানো দ্বীপটি সম্পর্কে জাপান কর্তৃপক্ষ অবগত আছে। এটা জাপানের সমুদ্র সীমায় থাকা সত্ত্বেও রাশিয়া এই অঞ্চলের মালিকানা দাবি করে। এই দ্বীপটি রাশিয়ানদের কাছে কুরিলস নামে পরিচিত।

২০১৪ সালে নিজেদের সমুদ্রসীমা নির্ধারণের জন্য জাপান সরকার ১৫৮টি জনবসতিহীন দ্বীপের নাম ঘোষণা করে। এর মধ্যে এসানবেহানাকিতাকোজিমা একটি।

দ্বীপটি কি পানিতে তলিয়ে গেছে?

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, জোয়ারের সময়ও ভেসে থাকা দ্বীপের চারপাশের জলরাশিকে নিজেদের বলে দাবি করতে পারে দেশগুলো। ১৯৮৭ সালের এক জরিপে দেখা যায়, এসানবেহানাকিতাকোজিমা দ্বীপটি সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১.৪ মিটার উঁচু। ১৯৮৮ সালে জাপানের জিওস্পাশিয়াল ইনফরমেশন অথরিটি এটাকে ছোট দ্বীপ হিসেবে ঘোষণা করে।

এই দ্বীপ নিখোঁজ হওয়ার সম্পর্কে কোস্টগার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তমো ফুজি বলেন, বাতাস ও তুষারের কারণে এটা ক্ষয় হতে পারে। এ কারণে হয়তো পানিতে তলিয়ে গেছে।

দ্বীপ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা নতুন নয়।গত ৫০ বছরের মধ্যে পরিবেশ পরিবর্তনের ফলে সলোমন দ্বীপপুঞ্জ থেকে হারিয়ে গেছে ৫টি দ্বীপ, মাইক্রোনেশিয়ার ৮টি দ্বীপ তলিয়ে গেছে।

আর সি