বিজ্ঞানে সৃষ্টিকর্তার ব্যাখ্যা কী? অ্যালবার্ট আইনস্টাইন কি সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করতেন? ১৯৫০ সালে ধর্ম বিষয়ের শিক্ষিকা মার্থা মাঙ্ক চিঠি লিখেছিলেন আইনস্টাইনকে। জানতে চেয়েছিলেন, আধুনিক পদার্থবিদ্যার জনক কি সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করেন? তিনি কি মনে করেন, সৃষ্টিকর্তা বা কোনও সর্বোচ্চ শক্তি এই বিশ্ব সৃষ্টি করেছেন? মার্থাকে উত্তর দিয়েছিলেন আইনস্টাইন। তাঁর লেখা সেই চিঠি নিলামে তুলেছে আমেরিকান সই সংগ্রহকারী সংস্থা ‘দ্য র্যাব কালেকশন’। ১ লক্ষ ২৫ হাজার ডলার থেকে নিলাম শুরু হবে।
এত দিন মার্থার এক উত্তরসূরির কাছে সযত্নে রাখা ছিল আইনস্টাইনের চিঠি। মার্থার প্রশ্নের জবাবে আইনস্টাইন লিখেছিলেন: ‘ধর্মগ্রন্থে লেখা কাহিনিগুলিকে যত দিন আক্ষরিক অর্থে নেওয়া হবে, সাধারণ মানুষ কী বিশ্বাস করবেন, সেটা প্রত্যাশিতই।’ তিনি আরও লিখেছিলেন, ‘যদি আপনি ধর্মগ্রন্থকে প্রতীকি হিসেবে ব্যাখ্যা করেন, তা হলে কিন্তু আর পরিষ্কার নয়, সৃষ্টিকর্তাকে কোনও মানুষ হিসেবে কল্পনা করা হয়েছিল কি না।’ আইনস্টাইন লিখেছিলেন, ‘‘...সে ক্ষেত্রে এটা বোঝা কঠিন, বিশ্বাসের আঁকড় কতটুকু পড়ে থাকে। আমি মনে করি, যে ব্যক্তি মোটামুটি বিজ্ঞানমনস্ক, তাঁর কাছে ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টির পিছনের ধর্মের ব্যাখ্যা যুক্তিগ্রাহ্য নয়। কারণ তিনি সবেতেই বিজ্ঞানের যুক্তি খোঁজেন।’’
জার্মানিতে অ্যাডল্ফ হিটলার ক্ষমতায় আসার পর ১৯৩৩ সালে আমেরিকায় পালিয়ে এসেছিলেন আইনস্টাইন। জার্মানি থেকে বেরিয়ে প্রথমে বেলজিয়ামে ছিলেন। তার পরে ছ’সপ্তাহ ব্রিটেনে থাকেন। শেষে আমেরিকায় চলে আসেন। এক দশক আমেরিকার নাগরিক ছিলেন আইনস্টাইন।
আরএ