
ছবি:কিয়োদো নিউজ
আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করলেন জি-৭ এর অর্থমন্ত্রীরা।আজ শনিবার মার্কিন ব্যাঙ্কের ব্যর্থতার ধারাবাহিকতায় উদ্বেগ উত্থাপন করার পরে আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জি-৭ এর অর্থমন্ত্রীরা।
টোকিওর উত্তর-পশ্চিমে নিগাতায় তিনদিনের বৈঠকের পর একটি যৌথ বিবৃতিতে জি-৭ অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নররা বলেন,তারা নিয়ন্ত্রকদের সাথে আর্থিক খাতের উন্নয়ন পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাবেন।
জি-৭ এর অর্থমন্ত্রীরা আরও বলেন,চীনকে মাথায় রেখে তারা বছরের শেষ নাগাদ উন্নয়নশীল দেশগুলির সাথে শক্তিশালী সাপ্লাই চেইন তৈরির প্রচেষ্টা শুরু করার লক্ষ্য রাখবে।এছাড়া ইউক্রেনের প্রতি তাদের অটুট সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং রাশিয়ার আক্রমণের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলি এড়াতে যে কোনও প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অর্থমন্ত্রীরা।
চীন জি-৭ এর সদস্য নয় তারপরও আলোচনায় উপস্থিত হয়েছিল।আলোচনায় চীনের উপস্থিতর কারণ হলো জি-৭ এর অর্থ প্রধানরা কীভাবে উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে ঋণের দুর্বলতাগুলিকে মোকাবেলা করে এবং সবুজ প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আরও ভাল সরবরাহ চেইন তৈরি করা যায় তা লক্ষ্য করা।বেইজিং তার ঋণদান পদ্ধতির জন্য পরিচিত যারফলে প্রায়শই উন্নয়নশীল ঋণগ্রস্ত দেশগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
এছাড়া মার্কিন ব্যাঙ্কের ব্যর্থতার ধারাবাহিকতার পরিপ্রেক্ষিতে আর্থিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতার উপর জি-৭ এর ফিনান্স মিটিংয়ে ব্যাঙ্ক এবং ঋণ সংক্রান্ত সমস্যাগুলি প্রাধান্য পেয়েছে।বৈঠকে থাকা একজন জাপানি সরকারি কর্মকর্তা বলেন,আলোচনার সর্বশেষ সময়ে,জি-৭ এর অর্থমন্ত্রীরা সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতিকে নমনীয় করার প্রয়োজনীয়তা দেখেছেন।
আজ শনিবার বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে, জি-৭ এর অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নররাও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করেছেন।এছাড়া ব্রাজিল, ভারত এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো ছয়টি দেশের সাথে ফিনান্স ট্র্যাকের জন্য আলোচনা করেছেন সাতটি দেশের অর্থমন্ত্রীরা।
এছাড়া জি-৭ এর শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক জাপানের প্রতিনিধিত্ব করে অর্থমন্ত্রী শুনিচি সুজুকি এবং ব্যাংক অফ জাপানের গভর্নর কাজুও উয়েদা একটি সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে।
অর্থমন্ত্রীদের আলোচনা আগামী সপ্তাহে হিরোশিমায় তাদের নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের ভিত্তি স্থাপন করবে।এছাড়া শীর্ষ সম্মেলনে তারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ এবং চীনের দৃঢ়তার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আর সি