![নারীর ক্ষমতায়নকে জোরদারে লিঙ্গ অর্থনৈতিক ব্যবধান দূর করার প্রতিশ্রুতি নারীর ক্ষমতায়নকে জোরদারে লিঙ্গ অর্থনৈতিক ব্যবধান দূর করার প্রতিশ্রুতি](https://www.tokyobanglanews.com/media/imgAll/2021September/Untitled-design---2023-06-25T200455858-2306252005.png)
ছবি:কিয়োদো নিউজ
নারীর ক্ষমতায়নকে জোরদার করে লিঙ্গ অর্থনৈতিক ব্যবধান দূর করার ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জি-৭।আজ রবিবার তোচিগি প্রিফেকচারে জি-৭ এর নেতাদের দুই দিনের বৈঠকের পর এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাপানের লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন মন্ত্রী মাসানোবু ওগুরা।
জাপানের লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন মন্ত্রী মাসানোবু ওগুরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে আন্তর্জাতিক নাগরিক গোষ্ঠীর সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
দুই দিনের বৈঠকের পরে প্রকাশিত একটি যৌথ বিবৃতিতে জানায়,যৌন সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার এবং মর্যাদাকে সম্মান করাসহ নারীর ক্ষমতায়নকে জোরদার করার জন্য কাজ চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছেন জি-৭ এর লিঙ্গ সমতা মন্ত্রীরাও।
যৌথ বিবৃতিতে মন্ত্রীরা অবৈতনিক পরিচর্যা এবং গৃহস্থালির কাজকে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে মহিলাদের জন্য বরাদ্দ করা মহিলাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা বলে অভিহিত করেছেন।এসকল কাজের জন্য মহিলাদের নেতৃত্বের পদে কাজ করার ক্ষমতা নষ্ট করে বলেও উল্লেখ করেন জি-৭ মন্ত্রীরা।
এছাড়া মহিলাদের লিঙ্গ-সমতা অর্জনের জন্য করোনা মহামারীটিকে একটি গুরুতর ধাক্কা বলে অভিহিত করেছেন ব্রিটেন, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মন্ত্রীরা।
বিবৃতিতে বিবৃতিতে মন্ত্রীরা আরও বলেছেন,সমস্ত নারী ও মেয়েদের আরও ক্ষমতায়নের জন্য আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছি।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের একটি সমীক্ষায় জানায়,২০২৩ সালের র্যাঙ্কিংয়ে জাপানের লিঙ্গ ব্যবধান সর্বকালের সর্বনিম্নে পৌঁছেছে।ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সমীক্ষায় ১৪৬ টি দেশের মধ্যে ১২৫ তম স্থানে রয়েছে জাপান যা জি-৭ দেশগুলি এবং পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থান।
এরআগে জাপান রাজনীতি ও অর্থনীতিতে নারীদের কম অংশগ্রহণের বিষয়ে সরকারী নিষ্ক্রিয়তার জন্য আন্তর্জাতিক নাগরিক সমতা প্রচারকদের সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে।এরইমধ্যে জাপানে প্রথমবারের মতো লিঙ্গ সমস্যা নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করেছে জি-৭।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ নারী নির্বাহী নিয়োগের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।জাপানি সরকারি কাউন্সিল টোকিও স্টক এক্সচেঞ্জের শীর্ষ-স্তরের প্রাইম মার্কেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলিতে ২০৩০ সালের মধ্যে মহিলা বোর্ড সদস্যদের অনুপাত ৩০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যে একটি নারী ক্ষমতায়ন নীতি অনুমোদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী কিশিদা।
নীতিমালায় বলা হয়েছে,২০২৫ সালের মধ্যে স্টার্টার হিসাবে কমপক্ষে একজন মহিলা বোর্ড সদস্য নিয়োগ করবে সংস্থাগুলি।নারীদের ব্যবস্থাপনা পদে পদোন্নতি দেওয়ার ক্ষেত্রে দেশটির কোম্পানিগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর চেয়ে পিছিয়ে থাকায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা জেন্ডার ইকুয়ালিটির কাউন্সিলের এক সভায় বলেছেন সরকার একটি টেকসই সমাজকে উপলব্ধি করতে জেন্ডার ইকুয়ালিটির কাউন্সিলের সাথে একসাথে কাজ করবে।
আর সি