![ওসাকার জাপান মিন্টে ৩০০ টিরও বেশি গাছে ফুটছে সাকুরা ওসাকার জাপান মিন্টে ৩০০ টিরও বেশি গাছে ফুটছে সাকুরা](https://www.tokyobanglanews.com/media/imgAll/2021September/Untitled-design---2023-04-08T152213249-2304081523.png)
ছবি:দ্যা মাইনিচি
জাপানের জাতীয় ফুল ‘সাকুরা’ বা চেরি গাছের ফুল। হরেক কিসিমের রঙের হলেও হাল্কা গোলাপি, প্রায় সাদা চেরি ফুলটিই সব চেয়ে বেশি জনপ্রিয়।এবার ওসাকার কিটা ওয়ার্ডে জাপান মিন্টে ৩০০ টিরও বেশি গাছে ফুটছে চেরি ফুল।গতকাল বৃষ্টির মধ্যেও জাপান মিন্ট মাঠে লোকেরা চেরি ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে জড়ো হয়েছিল।
প্রতি বছর জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত জাপানের শহরে-গ্রামে দেখা যায় এই ফুল। সব থেকে বেশি ফোটে মার্চ-এপ্রিল মাসে। জাপানি সাহিত্য ও শিল্পে ‘বসন্তের দূত’ হিসেবে বিখ্যাত এই ফুল বা ‘চেরি ব্লসম’।
জাপানের মিনাটো সিটি, টোকিও টোকিও টাওয়ার এবং রোপংগির মতো অসংখ্য পর্যটক আকর্ষণের জন্য পরিচিত।এখানে দুটি চেরি ব্লসম দেখার জায়গা রয়েছে।জায়গা দুটি হলঃ রোপংগি সাকুরাজাকা এবং মরি গার্ডেন।রোপংগি সাকুরাজাকায় ৪০০ মিটার প্রসারিত রাস্তা বরাবর ৭০টিরও বেশি "Yoshino" চেরি গাছ রয়েছে। এখানকার চেরি ব্লসমের মরসুমে ফুলের সৌন্দর্যে দর্শকদের বিস্মিত করে।এছাড়াও এখানে আছে মরি গার্ডেন।মরি গার্ডেন হল একটি বিস্তৃত জাপানি বাগান।এডো যুগের শেষ অবধি সামন্ত প্রভুর বাসস্থান ছিল এইখানে। দর্শনার্থীরা অবসরে পুকুরের স্রোতের কলরবের সাথে চেরি ফুল এবং গাছপালার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে চারটি ঋতুতেই।
এছাড়া প্রতি বছর, উভয় সাইট চেরি ব্লসম দেখার মরসুমে রাতের বেলায় আলোকসজ্জা করা হয় যাতে দর্শকরা রাতে চেরি ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে। এ এলাকাগুলোতে আপনি কেনাকাটা এবং খাওয়া দাওয়ার সময় চেরি ফুলে সম্পূর্ণ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।
প্রতি বছর বসন্তকালে খুব ধুমধাম করে পালন করা হয় ‘হানামি’ উৎসব। বসন্তকে স্বাগত জানানোর এই পার্বণের নির্ধারিত সময় মার্চ-এপ্রিল মাস। জাপানিরা মনে করেন, প্রকৃতির ক্ষণস্থায়ী সৌন্দর্যের প্রতীক হচ্ছে এই চেরি ফুল। সারা বসন্তকাল ধরে চেরি গাছের তলায় বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনের সঙ্গে পিকনিক করে এদেশের মানুষ।চেরি গাছের তলাতেই চলে খানাপিনা।
আর সি