
জলবায়ু উষ্ণায়নের ফলে ভারতের লাদাখের হিমবাহ গলে যাওয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে হিমালয়ান ইনস্টিটিউট অফ অল্টারনেটিভস, লাদাখ (এইচআইএএল) এর পরিচালক সোনাম ওয়াংচুকের ক্লাইমেট ফাস্টের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছে সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেইঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম।
বুধবার এক বিবৃতিতে এসএসিসিজেএফ এর সভাপতি আশিস গুপ্তা এবং মহাসচিব আসাদুজ্জামান সম্রাট সংহতি প্রকাশের বিষয়টি জানান। ভারতের লাদাখ এলাকায় অপরিকল্পিত শিল্পকারখানা স্থাপনের ফলে জলবায়ুর উষ্ণায়নের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করে আসছেন সোনাম ওয়াংচুক।
জলবায়ু ও পরিবেশ নিয়ে তার কাজের জন্য তিনি ২০১৮ সালে ম্যাগসেসে পুরস্কারে ভুষিত হন। তার উদ্ভাবনী স্কুল, স্টুডেন্টস এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল মুভমেন্ট অফ লাদাখ (এসইসিএমওএল) স্থাপনের জন্য তিনি ব্যাপকভাবে পরিচিত। যার ক্যাম্পাস সৌর শক্তিতে চলে এবং রান্না, আলো বা গরম করার জন্য কোনও জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে না। তিনি ১৯৮৮ সালে লাদাখের শিশু ও যুবকদের সমর্থন এবং শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে এসইসিএমওএল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৪ সালে ওয়াংচুক সরকারি স্কুল ব্যবস্থায় সংস্কার আনতে অপারেশন নিউ হোপ চালু করেন। তাঁর কর্মকাণ্ড নিয়েই বলিউডে নির্মিত হয়েছে থ্রি ইডিয়ট সিনেমা।
সরকার এবং বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য ওয়াংচুক আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকে খারদুংলা পাসে ১৮০০০ ফুট উচুতে মাইনাস ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৫ দিনের জলবায়ু অনশনে বসবেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেইঞ্জ জার্নালিস্ট‘স ফোরাম সোনাম ওয়াংচুকের এই কর্মসূচিতে সমর্থন জানাচ্ছে এবং সংহতি প্রকাশ করছেন। নেতৃবৃন্দ আশা করছেন, ওয়াংচুকের এই আন্দোলন শুধুমাত্র লাদাখই নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তীব্র ঝুঁকিতে থাকা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য একটি ওয়েকআপ কল হিসেবে বিবেচিত হবে। বিশ্ববাসী দক্ষিণ এশিয়ার জলবায়ু পরিবর্তন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আরও সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
আর এ