এক কাপ চায়ে আছে বহু গুণ।স্বাস্থ্যকর উপায়ে যদি চা খাওয়া যায় তাহলেই শরীরে মিলবে না উপকার ও সারবে নানা রোগ ব্যাধি। যেমন- চায়ের সঙ্গে ফুলের পাপড়ি মেশালেই চায়ের কার্যকারিতা আরও বেড়ে যায়।
যে কোনো ফুলের পাপড়ি হলে হবে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক চায়ের সঙ্গে কোন ফুলের পাপড়ি মেশাবেন-জুঁই ফুল,গোলাপ,ল্যাভেন্ডার,চন্দ্রমল্লিকা ও অপরাজিতা বা নীলকন্ঠ ফুলের পাপড়ি।
জুঁই ফুলের চা
এই ফুলও অনেকের বাড়িতে থাকে। এই ফুলের চাও শরীরের জন্য অনেক উপাকারী। চা বানানোর সময় জুঁই ফুলের পাপড়ি মিশিয়ে নিতে পারেন। এই চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িায়। আবার ওজনও কমায় এই চা।
গোলাপ চা
গোলাপ চা তৈরি করার সময় প্রথমেই একটি পাত্রে পানি ফুটিয়ে নিয়ে তাতে গোলাপের পাপড়ি মিশিয়ে দিন। এর কিছুক্ষণ পর চা পাতা মেশাতে হবে।এই গোলাপ চা খেলে ওজন কমে। তাছাড়া পেট ব্যথার সমস্যাও কমে। এমনকি সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে মেলে মুক্তি।
ল্যাভেন্ডার চা
অনেকেই শখ করে এই ফুল টবে লাগান। ল্যাভেন্ডারে আছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। এ ফুলের পাপড়িও চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারে।
এতে স্নায়ুর সমস্যা কমে ও হজম শক্তি বাড়ে। এ ছাড়াও ত্বকের বয়স কমায় এই চা। এই চায়ে আছে অ্যান্টি এজিং বৈশিষ্ট্য।
চন্দ্রমল্লিকা চা
অনেকেই বাড়ির টবে এই ফুলগাছ রাখেন। চা বানানোর সময় এই ফুলের একটি বা দু’টি পাপড়ি মিশিয়ে চা বানাতে পারেন। এই চা খেলে হৃদরোগের আশঙ্কা কমে।
অপরাজিতা বা নীলকন্ঠ ফুলের চা
ক্যান্সার প্রতিরোধে: এতে রয়েছে অ্যান্থোসায়ানিন যা আমাদের দেহে ফ্রি রেডিক্যাল (মুক্ত মূলক) তৈরীতে বাধা প্রদান করে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে: গবেষণায় দেখা গেছে এটি রক্তে গ্লুকোজ এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম অর্থাৎ এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
লিভার সুরক্ষায়: গবেষনা বলছে, নীল চা এর পলিফেনল ও ফ্লাভোনোয়েড যৌগ লিভার এনজাইমের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং লিভার এর সুরক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে।
অ্যাজমা প্রতিরোধে: মালয়েশিয়ার একদল গবেষকের মতে, এতে উপস্থিত স্যাপোনিন ও ফ্লাভোনোয়িড যৌগ অ্যাজমা প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
স্মৃতিশক্তির্ধক হিসেবে: এটি স্মৃতিশক্তিবর্ধক হিসেবে অ্যালঝেইমার রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
হৃদরোগের ঝুকি কমাতে: এটি রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইডস, কোলেস্টেরল ও এলডিএল এর মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুকি কমাতে সাহায্য করে।
আর সি
