ছবি:দ্যা মাইনিচি
আগামীকাল চাঁদের উদ্দেশে রকেট উৎক্ষেপন করবে নাসা।ফ্লোরিডায় হারিকেন নিকোলের প্রভাবে ছোটখাটো ক্ষয়ক্ষতি উত্তরণের পরে চাঁদে ক্রুবিহীন মিশনটি আগামীকাল বুধবার উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা।
নাসার একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জিম ফ্রি সাংবাদিকদের বলেন,নাসা’র ঠিকাদারদের মাধ্যমে নির্মিত সবচেয়ে শক্তিশালী ভারী উত্তোলন রকেটটি এখন বুধবার স্থানীয় সময় ০১:০৪ টায় (০৬০৪ জিএমটি) উৎক্ষেপণ করা হবে।
শেষবার চন্দ্রপৃষ্ঠে মানুষের হাঁটার পাঁচ দশক পরে আর্টেমিস ১ নামে অভিহিত এই ক্রুবিহীন মিশন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে চাঁদে নতুন করে নভোচারী পাঠানোর ক্ষেত্রে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
রকেটটি চন্দ্র পৃষ্ঠে অবতরণ না করে ওরিয়ন ক্রু ক্যাপসুলকে চাঁদে নিয়ে যাবে। এই উৎক্ষেপণ যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়, তাহলে ক্যাপসুলটি সাড়ে ২৫ দিন চন্দ্রপৃষ্ঠে থাকার পরে পুনরায় আর্টিমিস ১ রকেটে ফিরে আসবে এবং ১১ ডিসেম্বর প্রশান্ত মহাসাগরে অবতরণ করবে।
তবে উৎক্ষেপণের আগে ইউএস স্পেস এজেন্সিকে ‘কিছু কাজ করতে হবে’ বলে উল্লেখ করে জিম ফ্রি বলেন, যানটিকে পাওয়ার আপ এবং কিছু প্রযুক্তিগত পরীক্ষা করা হবে।বহুল প্রত্যাশিত উৎক্ষেপণ ইতিমধ্যে কয়েক মাসে তিনবার বিলম্বিত হয়েছে।
মিশন ম্যানেজার মাইক সারাফিন বলেন, প্রয়োজনে ১৯ নভেম্বর এবং ২৫ নভেম্বর দুটি ব্যাক-আপ লঞ্চের তারিখ নির্ধারিত রাখা হয়েছে।
নাসার উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা উন্নয়ন বিষয়ক সহযোগী প্রশাসক জিম ফ্রি বলেন,ক্যাটাগরি ১ ঝড় হারিকেন নিকোল থেকে আসা বাতাসে কেনেডি স্পেস সেন্টারে এর লঞ্চ প্যাডে দাঁড়িয়ে থাকা রকেটটিকে আঘাত করেছিল। তিনি স্বীকার করেছেন যে, যদি নাসা জানত হারিকেনটি এগিয়ে আসছে, তাহলে এসএলএস রকেটটি সংযোজন ভবনে রেখে দেয়া হতো।
হারিকেন ইয়ন থেকে রক্ষা করার জন্য রকেটটিকে সেপ্টেম্বরে সংযোজন ভবনে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছিল, কিন্তু নিকোল আসার কয়েকদিন আগে আবার লঞ্চ প্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়।
ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার জেরেমি পার্সনস বলেন,মহাকাশ সংস্থা ২০২৪ সালে চাঁদের চারপাশে মহাকাশচারী পাঠানোর এবং ২০২৫ সালে চন্দ্র পৃষ্ঠে একটি ক্রু অবতরণ করার পরিকল্পনা করেছে।সর্বশেষ ১৯৭২ সালের ডিসেম্বরে চাঁদে গিয়েছিল মহাকাশচারীরা।এরপর প্রোগ্রামটি বন্ধ করে দেয় অ্যাপোলো।
আর সি
